
অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির অভিযোগ তুলে দুটি স্টল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। অভিযোগ উঠেছে, একটি ইসলামপন্থী গ্রুপের আপত্তি ও জনরোষের শঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নারী ও শিশু স্বাস্থ্য পণ্য ব্র্যান্ড ‘স্টে-সেইফ’ মেলায় দুটি স্টল পরিচালনা করছিল। শুরুতে কোনো সমস্যা না থাকলেও ১১ ফেব্রুয়ারির পর কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ন্যাপকিনকে ‘গোপনীয় পণ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে এর প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধের দাবি তোলে। এরপর ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে, যা ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টল পুনরায় চালুর পর আরও জটিল আকার ধারণ করে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলা একাডেমি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত স্টল দুটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিকল্প হিসেবে শিশুদের শিক্ষাসামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথাও বলা হয় চিঠিতে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম জানান, বইমেলায় খাবার ও পানীয় ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বিক্রির অনুমতি ছিল না। ইভেন্ট ম্যানেজারের সিদ্ধান্তেই এসব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যা একাডেমির অনুমোদিত ছিল না। তাই নিয়ম অনুযায়ী স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, যদি খাবার ও পানীয় ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে চিঠিতে শিশুদের শিক্ষাসামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা কেন বলা হলো? এ বিষয়ে অধ্যাপক আজম জানান, শিশু কর্নারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে সেখানে অন্যান্য পণ্য সংযোজন করায় সেটিও বাতিল করা হয়।
বইমেলায় এর আগেও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি হয়েছে, তবে এবার বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ দাবি করেছেন, বাংলা একাডেমি স্পষ্ট করুক, কোন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। পুরো ইসলামপন্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে যেন কোনো ষড়যন্ত্র না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’’
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেছেন, ‘‘মহিলা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ন্যাপকিন অপরিহার্য। অথচ ২০২৫ সালে এসেও এই বিষয়ে জনরোষ তৈরি হওয়া এবং স্টল বন্ধ হয়ে যাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। নারীস্বাস্থ্যের ওপর কোনো ধরনের নিপীড়ন আমরা সহ্য করব না।’’
একদিকে বাংলা একাডেমির যুক্তি প্রশাসনিক, অন্যদিকে এর পেছনে ধর্মীয় চাপ এবং জনরোষের বিষয়টিও উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের সামাজিক প্রভাব নারীদের স্বাস্থ্যসেবাকে কতটা বাধাগ্রস্ত করবে? বইমেলা কি শুধুই বইয়ের জায়গা, নাকি শিক্ষামূলক ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি প্ল্যাটফর্ম? এসব প্রশ্নের জবাব সময়ই দেবে, তবে এই ঘটনাটি দীর্ঘদিন আলোচনায় থাকবে, তা নিশ্চিত।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নারী ও শিশু স্বাস্থ্য পণ্য ব্র্যান্ড ‘স্টে-সেইফ’ মেলায় দুটি স্টল পরিচালনা করছিল। শুরুতে কোনো সমস্যা না থাকলেও ১১ ফেব্রুয়ারির পর কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ন্যাপকিনকে ‘গোপনীয় পণ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে এর প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধের দাবি তোলে। এরপর ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে, যা ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টল পুনরায় চালুর পর আরও জটিল আকার ধারণ করে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলা একাডেমি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত স্টল দুটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিকল্প হিসেবে শিশুদের শিক্ষাসামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথাও বলা হয় চিঠিতে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম জানান, বইমেলায় খাবার ও পানীয় ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বিক্রির অনুমতি ছিল না। ইভেন্ট ম্যানেজারের সিদ্ধান্তেই এসব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যা একাডেমির অনুমোদিত ছিল না। তাই নিয়ম অনুযায়ী স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, যদি খাবার ও পানীয় ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে চিঠিতে শিশুদের শিক্ষাসামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা কেন বলা হলো? এ বিষয়ে অধ্যাপক আজম জানান, শিশু কর্নারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে সেখানে অন্যান্য পণ্য সংযোজন করায় সেটিও বাতিল করা হয়।
বইমেলায় এর আগেও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি হয়েছে, তবে এবার বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ দাবি করেছেন, বাংলা একাডেমি স্পষ্ট করুক, কোন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। পুরো ইসলামপন্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে যেন কোনো ষড়যন্ত্র না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’’
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেছেন, ‘‘মহিলা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ন্যাপকিন অপরিহার্য। অথচ ২০২৫ সালে এসেও এই বিষয়ে জনরোষ তৈরি হওয়া এবং স্টল বন্ধ হয়ে যাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। নারীস্বাস্থ্যের ওপর কোনো ধরনের নিপীড়ন আমরা সহ্য করব না।’’
একদিকে বাংলা একাডেমির যুক্তি প্রশাসনিক, অন্যদিকে এর পেছনে ধর্মীয় চাপ এবং জনরোষের বিষয়টিও উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের সামাজিক প্রভাব নারীদের স্বাস্থ্যসেবাকে কতটা বাধাগ্রস্ত করবে? বইমেলা কি শুধুই বইয়ের জায়গা, নাকি শিক্ষামূলক ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি প্ল্যাটফর্ম? এসব প্রশ্নের জবাব সময়ই দেবে, তবে এই ঘটনাটি দীর্ঘদিন আলোচনায় থাকবে, তা নিশ্চিত।